রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে ‘প্রথম জাতীয় শিল্প মেলা-২০১৯’ । আজ সকাল ১০টায় ৭ দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোসহ দেশে উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো জাতীয় শিল্প মেলার আয়োজন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে ‘প্রথম জাতীয় শিল্প মেলা-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস বিফিংয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব তথ্য জানান। এ সময় শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন করপোরেশন ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এবারই প্রথম জাতীয় শিল্প মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও এ মেলার মূল উদ্দেশ্য দেশে বিনিযোগ বাড়ানো। আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্পত্তিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আছে। বিনিয়োগকারীরা আমাদের কাছে এলে আমরা তাদের এ সুবিধাগুলো প্রদান করতে পারব।
প্রথমবারের মতো মেলায় সারা দেশ থেকে বড়, মাঝারি, ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির, হস্ত ও কারু এবং হাইটেকসহ মোট ৩০০ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। তারা ৩০০টি স্টলে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১১৬ জন নারী উদ্যোক্তা এবং ১০৭ জন পুরুষ উদ্যোক্তা রয়েছেন।
মেলায় দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক ও সিনথেটিক পণ্য, হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যারসহ অন্যান্য বড়, মাঝারি, ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির, হস্ত ও কারু এবং হাইটেক শিল্পের স্বদেশি পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রয় হবে।
এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে- কোনো বিদেশি পণ্য এ মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা হবে না।
মেলা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে। ৩১ মার্চ শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলায় কোনো প্রবেশ মূল্য থাকবে না।