ইউটিউব নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেনি শুধুমাত্র ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হিসেবে । দিনকে দিন হয়ে উঠছে আয়ের অন্যতম উৎস। তবে ঠিকঠাক কৌশল মেনে চললে ইউটিউব থেকে বেশি বেশি আয় করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নিই, ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়-
ভিডিওতে ডেসক্রিপশন অ্যাফিলিয়েট লিংক : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্য কারো পণ্যের প্রচার করা। এতে সেই প্রডাক্ট যত বেশি বিক্রি হবে, আপনার তত বেশি উপার্জন হবে। তাই আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে এমন কিছু অনুমোদিত অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করুন, যাতে আয় বাড়ে।
স্পনসর্ড ইউটিউব ভিডিও তৈরি করুন : ইউটিউবারদের অর্থ উপার্জনের সব থেকে জনপ্রিয় উপায় হল স্পনসর্ড ভিডিও তৈরি করা।
বিভিন্ন কোম্পানির জন্য অর্থের বিনিময়ে ভিডিও তৈরি করে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকেও টাকা পাবেন, আবার ইউটিউব ভিউ থেকেও টাকা আয় করতে পারবেন।
প্রডাক্ট বিক্রি : ইউটিউব থেকে ভালো আয়-রোজগারের আরেকটি উপায় হলো প্রডাক্ট বিক্রি। আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন সামগ্রী বা ব্র্যান্ডিং সম্পর্কিত পণ্য বিক্রির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লাইভ ইভেন্টেরও আয়োজন করতে পারেন। সেখানে পণ্য বিক্রি করার পাশাপাশি টিকিটের জন্যও চার্জ করতে পারেন।
মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি : কন্টেন্ট ভালো হলে, দর্শক দেখবেই। আর যত বেশি ভিউ হবে, তত বেশি টাকা। তাই ছোট ভিডিও একবারেই তৈরি করবেন না। অন্তত ৩ মিনিট বা তার বেশি সময়ের ভিডিও তৈরি করুন। আর সেই ভিডিওর প্রথম ১ মিনিট এতটাই এনগেজিং এবং আকর্ষণীয় করুন যে, দর্শক যেন আপনার তৈরি করা ওই ভিডিও ছেড়ে না চলে যান। তাতে করে ধীরে ধীরে আপনার ভিউয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকবেই। যত ভিউয়ার হবে, ততই ভিডিওর ভিউ বাড়বে, বাড়বে লাইক এবং কমেন্টও। আর এই সব কিছু মিলিয়েই আপনি ইউটিউব থেকে ভাল টাকাও আয় করতে পারবেন।
ভিডিও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়: ইউটিউবার হিসেবে আপনি বিভিন্ন পরিষেবার অ্যাক্সেস পাবেন, যা আপনার ভিডিওগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দেবে। অংশীদার হিসেবে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সাধারণ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল ভিডিও বিজ্ঞাপন। যখন কোনও দর্শক আপনার একটি ভিডিও দেখে এবং সেই ভিডিও চলাকালীন তাকে কোনও একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেখান থেকে একটা কমিশন চলে যায় আপনার কাছে। এইভাবে আপনি যতক্ষণ সেই দর্শককে আপনার ভিডিওতে মগ্ন রাখবেন, ততই সে বেশি করে বিজ্ঞাপনও দেখতে পাবে। তাতে আপনার আয় বাড়তে থাকবে।