আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত শুরু হবে কঠোর লকডাউন। এ সময় সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে। শনিবার (১৭ জুলাই) বিজিবি-৬ এর ৯৬তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এসব কথা বলেন।
এদিকে ঈদের পরে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে শিল্পকারখানা খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছিল দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের স্বার্থে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই ৯ দিনের জন্য লকডাউনের সব বিধিনিষেধ স্থগিত করেছে সরকার।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে- এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
তবে এই সময়েও জনগণকে সব অবস্থায় সতর্ক থাকতে, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ‘কঠোরভাবে’ অনুসরণ করতে হবে।
ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউন আগের চেয়েও কঠিন। আগের লকডাউনে গার্মেন্ট-কলকারখানা চালু ছিল। ঈদ পরবর্তী লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা, মার্কেন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
এগুলোসহ ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়।