দেশে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি অবনতি হলে আবারও কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিককের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে আবারো লকডাউন দেয়া হবে।
১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। অফিস-আদালত-ব্যাংকের পাশাপাশি দোকানপাট ও শপিংমল খুলে গেছে। গণপরিবহণ অর্ধেক চলার বিধিনিষেধ ছিল। সেটিও তুলে নেয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছর প্রথমবারের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এর পর আরও কয়েক দফায় তা আরোপ ও শিথিল করা হয়। সর্বশেষ গত ১ জুলাই থেকে চলাচলে আবারও বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের পর দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবার পর্যটন খাতের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয়টি জানানো হয়। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে চার শর্তে দেশের সকল গণপরিবহন এবং পর্যটন কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলতে পারবে। পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগ ব্যবহার করে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
তবে সকল ক্ষেত্রে শতভাগ মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোনও প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি পালনে অবহেলা বা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।