মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৯৭৬ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৮৬৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়াল ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জনে। এখন পর্যন্ত এটিই দেশে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৫৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৪৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৫৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ১১৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৫৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২ হাজার ৪৯৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৮৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৬৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৭ হাজার ৯২৮ জন।
গত বছরের ৮ই মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ই মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।