সাধারণত বাড়ির তরিতরকারি রান্নার পাশাপাশি ময়দা বা বেসনের যে কোনও মুখরোচক ভাজাভুজিতে কালোজিরা ব্যবহার করে থাকি। তবে এই জিনিষটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাচীনকাল থেকেই এই মশলার ব্যবহার হয়ে আসছে। কালোজিরাতে রয়েছে ফসফেট, ফসফরাস আর আয়রন, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
এ ছাড়াও কালোজিরার একাধিক আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। এবার সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
– পেটের সমস্যার সমাধান করতে কালোজিরা অতুলনীয়। এটি ভেজে গুঁড়ো করে আধা কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে তা পেটের অনেক সমস্যা দূরে করতে সাহায্য করবে।
– কালোজিরাতে ফসফরাস নামক এমন এক উপাদান রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া শরীরের যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
– বর্ষাকালে অনেকের মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটা কাপড়ের পুঁটুলিতে কালোজিরা বেঁধে তা রোদে শুকাতে দিন। এর পর তা নাকের কাছে ধরলে মাথা ও বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা সহজেই বেরিয়ে যায়। আবার মাথা যন্ত্রণার অস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে কালোজিরা।
– বিভিন্ন উপাদানের পাশাপাশি কালোজিরাতে রয়েছে আয়রন আর ফসফেট। যা শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এটি খুবই কার্যকরী!
– কালোজিরা দুর্দান্ত অ্যান্টি টক্সিনের কাজ করে। তাই নিয়মিত ও পরিষ্কার প্রস্রাবের জন্যও কালো জিরা খেতে পারেন। আবার মূত্রথলির সংক্রমণ ঠেকাতেও এটি উপকারী।
– কালোজিরা নারী ও পুরুষে উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। নিয়মিত কালোজিরা সেবনে পুরুষত্ব হীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
– চা বা গরম পানির সঙ্গে কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার পাওয়া যায়, তেমনি শরীরের বাড়তি মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
– চুল পড়া রোধেও কালোজিরা খুব উপকারী। চুল শ্যাম্পু করার পর শুকিয়ে নিন। এবার পুরো মাথায় কালোজিরার তেল ভালো মতো লাগান । এক সপ্তাহ নিয়মিত করলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
– এক কাপ দুধ ও এক চা চামচ কালোজিরার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে দৈনিক পান করুন। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে ।
– যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তারা দৈনিক কোনো না কোনোভাবে কালোজিরা সেবনের চেষ্টা করুন। কারণ, কালো জিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গরম ভাতের সঙ্গেও কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন।
– বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
– মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।