Home কর্পোরেট সংবাদ কোভিট-১৯ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করলো সিকদার মেডিকেল কলেজের গুলশান শাখা

কোভিট-১৯ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করলো সিকদার মেডিকেল কলেজের গুলশান শাখা

কোভিট-১৯ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করলো সিকদার মেডিকেল কলেজের গুলশান শাখা

সংবাদকর্মী, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা সামনে থেকে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছেন তাদের কোভিট-১৯ চিকিৎসার খরচের উপর ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ কোভিট-১৯ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করলো জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের গুলাশান শাখা। আজ শনিবার ২০ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “সিকদার গ্রুপ বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের পথ প্রদর্শক। করোনা সংকট মোকাবেলায় সিকদার গ্রুপের এই এগিয়ে আসা আমাদের জন্য একটি আনন্দ সংবাদ। তিনি আরও বলেন, “এই হাসপাতালটি গত ২০ বছর ধরে সুনামের সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। আমি আশাবাদী কোভিট-১৯ চিকিৎসায় তারা তাদের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখবে।”

পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রয়েছে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। করোনা স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য আলাদা ইউনিট, আইসোলেশন ওয়ার্ড ছাড়াও এখানে রয়েছে ২১টি নতুন সিসিইউ এবং আইসিইউ বেড, পিসিআর ল্যাব, ভেন্টিলেটর, নেবুলাইজার মেশিন, কার্ডিয়াক মনিটর, বহনযোগ্য ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, ইসিজি, ইকো, এমআরআই এবং অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কেবিন ও ওয়ার্ড।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিকদার গ্রুপের পরিচালক এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য পারভিন হক সিকদার। তিনি বলেন, “আজকে সিকদার গ্রুপের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমরা আরও একবার মানুষের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। আমার বাবা, সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার করোনা সংকটের একদম শুরুর দিকে সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, সরকার চাইলে আমাদের সব হাসপাতাল প্রয়োজনমত ব্যবহার করতে পারবে। কিছুটা বিলম্ব হলেও আজকে আমরা সেবা দেবার জন্য যাত্রা শুরু করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “এই সংকটময় সময় দেশের জন্য যে সহযোগিতাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল সেটি নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আমি সিকদার গ্রুপের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। সিকদার গ্রুপের এই এগিয়ে আসা করোনার মোকাবেলায় আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

দেশের চিকিৎসা খাতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা খাতের অনেক প্রথমের সাথে জড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম। এর মধ্যে, ১৯৯২ সালে নারীদের জন্য চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিত করতে আলাদা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, প্রথমবারের মত হার্টের চিকিৎসা এবং দেশে প্রথমবারের মত সফল ওপেন হার্ট সার্জারি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০০০ সালে গুলশানে প্রতিষ্ঠা করা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটির দ্বিতীয় শাখা। করোনা মহামারি মোকাবেলায়, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দ্বিতীয় হাসপাতালকে সম্পূর্ণরূপে কোভিট-১৯ রোগের চিকিৎসা উপযোগী করে তোলা হয়।

হাসপাতালের গুলশান শাখায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচাল (হাসপাতাল) এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতের সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ।

প্রয়োজনীয় যোগাযোগঃ মাহফুজুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট, মোবাইলঃ 01755500959, ই-মেইলঃ [email protected]

শেয়ার করুনঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here