ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে জালনোট প্রতিরোধে বিনা খরচে নোট যাচাইয়ের সেবা দেবে ব্যাংক। এ বিষয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের পূর্বরাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদেরকে বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে। হাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বরসহ ব্যাংকের সমন্বয়ক হিসাবে মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে সব জেলায় অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতেও একই প্রক্রিয়ায় সেবা দিতে ব্যাংকের শাখাগুলোতে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই এমন জেলায় সিটি কপোরেশন, পৌরসভা ও থানার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লি. এর চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বুথে নোট যাচাইয়ের সময় কোনো জালনোট ধরা পড়লে জালনোট ০১(পলিসি)/২০০৭-১৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাটে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে জালনোট শনাক্তকরণ বুথের ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। জাল নোট শনাক্তে হাটে দায়িত্ব পালনকারী কার্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।