ক্যানসারের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে হলুদ মেশানো চা। হলুদ চা বানানো যেমন সহজ, তেমনি সুস্বাদু। এই চা পান করলে অনেক রকম রোগব্যাধির প্রকোপ কমে যায়। প্রতিদিন সকালে এক কাপ চা না হলে দিনের শুরুটাই যেন ঠিকভাবে হয় না। অফিসে, আড্ডায়, অতিথি আপ্যায়নে চা অপরিহার্য। তবে চায়ের আলাদা স্বাদ পেতে কখনও মধু, লেবু মিশিয়ে খেয়েছেন। এবার চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশান। আর স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও পেয়ে যান।
প্রতিদিন সকালে এক কাপ চা না হলে দিনের শুরুটাই যেন ঠিকভাবে হয় না। অফিসে, আড্ডায়, অতিথি আপ্যায়নে চা অপরিহার্য। তবে চায়ের আলাদা স্বাদ পেতে কখনও মধু, লেবু মিশিয়ে খেয়েছেন। এবার চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশান। আর স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও পেয়ে যান।
প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপের একটু বেশি পরিমাণ জল গরম করুন। এবার গরম জলের মধ্যে অল্প পরিমাণে (এক চিমটে) হলুদ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।বা যেভাবে আদা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে চা করার সময় দেন, সেরকমভাবে অল্প পরিমাণ কাঁচা হলুদ ছোট ছোট টুকরোতে কেটে ভালো করে থেঁতো করেও জলে দিতে পারেন।
এরপর এটিকে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর জল ছেঁকে নিন। এবার ছেঁকে নেওয়া জলে গোলমরিচ, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। ব্যস, হলুদ চা তৈরি। তবে এটাকে অনেকে চা না বলে হলুদ পানীয়ও বলে থাকে।আর এতে হালকা চা পাতাও ভিজিয়ে রাখলে একেবারেই হলুদ চা হয়ে যাবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সহায়তাকারী উপাদান হলুদ। হলুদ চায়ে পাওয়া যাচ্ছে হলুদের এই উপকারী উপাদান, যা চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে। ফলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ভয় থাকে না।
ক্যানসারের কোষ শরীরে জন্মাতে দেয় না হলুদের ভেতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন রক্তে জমতে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া হলুদ চা হজম ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তির বিকাশ ঘটায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, মাথার খুশকি সমস্যা দূর করে, আর্থারাইটিসের যন্ত্রণা কমায়।