চলতি লকডাউন শেষে অথ্যাৎ ৬ আগস্ট থেকে দোকানপাট ও মার্কেট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। তাদের দাবি, ১৮ মাসে তাদের ক্ষতি হয়েছে ২৭ লাখ কোটি টাকা।
দোকানপাট ও মার্কেট মালিক সমিতি জানায়, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র প্রায় ৫৫ লাখ ব্যবসায়ীর সাথে জড়িত প্রায় দুই কোটি মানুষ। এসময় তারা বলেন, সংক্রমণ রোধে লকডাউন একমাত্র পন্থা না। আর লকডাউন মানা সম্ভব নয়। মাস্ক বা স্বাস্থ্য বিধি না মানলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লাঠি চার্জ করার অনুমোদন দেয়ার দাবিও জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি।
একই সাথে, আগামী ১৫ দিন মাস্ক পরা বাধ্য করতে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানান।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘৬ তারিখ থেকে আমরা স্বাভাবিকভাবে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করতে চাই। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা যেন গ্রহণ করারও অনুরোধ জানান তিনি।’
এর আগে, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমনা কঠোর লকডাউনের মধ্যেই শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পহেলা আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা, চলমান বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হলো। এর মাধ্যমে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প-কারখানা বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসল। ঈদ পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধে সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিলো সরকার। তবে, এরমধ্যেই ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা সরকারের কাছে আবেদন জানায়, রপ্তানিমুখী শিল্প-কারাখানা খুলে দেয়ার। এমনকি দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও শিল্প-কারখানা খুলে দিতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে, কোরবানির ঈদে জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। এরপর কোরবানি ঈদের পরদিন ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। ঈদ পরবর্তী বিধিনিষেধে শিল্প-কারখানা, সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়।