জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের চলচ্চিত্র জমা দেয়ার জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্রের আবেদনপত্র আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। সূত্র বাসস।
সেখানে আরও বলা হয়েছে অংশগ্রহণকারী প্রযোজকদের তাদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের একটি উন্নতমানের সিডি, ডিভিডি ও পেনড্রাইভ এবং নির্ধারিত ছকে প্রযোজক, পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলা-কুশলীদের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বরসহ জীবন বৃত্তান্ত (বাংলায়), চলচ্চিত্রের কাহিনী সংক্ষেপ, গানের কথা ইত্যাদি প্রতিটির ১৫ (পনেরো) সেট ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ও সদস্য-সচিব, জুরি বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০, তথ্য ভবন (লেভেল ১৩ ও ১৪), ১১২ সার্কিট হাউজ রোড, রমনা, ঢাকা-১০০০ এই ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র; শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র; শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী খল চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে; শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী; শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার; শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক; শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক; শ্রেষ্ঠ গায়ক; শ্রেষ্ঠ গায়িকা; শ্রেষ্ঠ গীতিকার; শ্রেষ্ঠ সুরকার; শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার; শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার; শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা; শ্রেষ্ঠ সম্পাদক; শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক; শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক; শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক; শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান ক্যাটাগরিতে।
কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন৷ আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীরা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত এবং ২০২০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তা ২০২০ সালে সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে।
পুরস্কারযোগ্য প্রতিটি শাখায় গুণগত ও শৈল্পিক মানে শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে। দেশীয় প্রেক্ষাপট, পরিচালকের মৌলিকত্ব ও সৃজনশীলতার স্বাক্ষর বহনকারী চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
জুরি বোর্ডের বিবেচনার জন্য প্রতিটি নৃত্যের জন্য পৃথকভাবে নৃত্য পরিচালকের নাম উল্লেখ করতে হবে। একইভাবে প্রতিটি গানের (পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন) জন্য পৃথকভাবে গায়ক, গায়িকা, গীতিকার এবং সুরকারের নাম উল্লেখ করতে হবে।
কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক-প্রকাশকের অনুমতি (কপিরাইট) নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য অংশগ্রহণকারী কোনো চলচ্চিত্রে সেন্সরবিহীন কোনো দৃশ্য সংযোজন এবং সেন্সরকৃত কোনো অংশ বিয়োজন করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে চলচ্চিত্রটি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না। সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রধান প্রধান দৃশ্য ও সংলাপ সংবলিত বিষয়বস্তুর ওপর ৫ মিনিটের (কম-বেশি) ১টি সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমাকৃত চলচ্চিত্রটির সাথে জমা দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রযোজক কর্তৃক যে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে তাদের নাম চলচ্চিত্রের টাইটেলে উল্লেখ থাকতে হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম ও ছক বিনামূল্যে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে।
প্রত্যেক আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের যথাযথ মানসম্পন্ন সিডি, ডিভিডি ও পেনড্রাইভ জমা দিতে হবে। কোনো সিডি, ডিভিডি ও পেনড্রাইভ মানসম্মত না হলে তা বিবেচনা না করার ক্ষমতা জুরি বোর্ড সংরক্ষণ করে। প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য পৃথকভাবে আবেদনপত্র ও সিডি, ডিভিডি ও পেনড্রাইভ জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী, কলাকুশলী, ব্যক্তির জীবন বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
যাদের অনুকূলে জীবন বৃত্তান্ত (বাংলা) ও জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দেয়া হবে না তাদের আবেদন জুরি বোর্ড কর্তৃক বিবেচিত হবে না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।