অনেক সময় এটিএম বুথ থেকে টাকা তুললে জাল ও ছেঁড়া টাকা পাওয়া যায়, আর তাতেই ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। এই জাল ও ছেঁড়া টাকার তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান মিলছে না। এরকমই ভোগান্তিতে পড়া একজন গ্রাহক বলেন, গতমাসের প্রথম সপ্তাহে ইউসিবির ভিসা কার্ড দিয়ে ব্যাংক এশিয়ার এলিফ্যান্ট রোডের বুথ থেকে টাকা তুললে ছেঁড়া নোট বের হয়। নোটের কোনার ছোট একটা অংশ ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলে তারা বলে, নিকটস্থ ব্রাঞ্চে যেতে, তারা নোটের অবস্থা দেখে বলতে পারবেন এবং বদলে দিতে পারেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনের তাগিদে এটিএম বুথে লেনদেন বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে ভোগান্তিও। কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া, বুথে জাল ও ছেঁড়া নোট, সবসময় পর্যাপ্ত টাকা না থাকাসহ নানা জটিলতা রয়েছে এটিএম বুথগুলোতে। যেহেতু গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন করেন তা-ই সেবার মান নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন।
বুথ-সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। অবহেলা বা প্রতারণার অভিযোগের প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানা ও কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্টের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ নিয়মিত পরিদর্শন করি। এখন পর্যন্ত বেশকয়েকটি ব্যাংককে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটিএম সেবার মান বাড়াতে কঠোর হয়েছে। যদি কোনো ব্যাংকের এটিএম সেবা নিয়ে অবহেলা বা প্রতারণার অভিযোগ আসে এবং তা প্রমাণ হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানা ও কর্মকর্তাকে শাস্তি আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, এটিএম বুথের সেবা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যেহেতু এ সেবার আওতা বেড়েছে, কিছু সমস্যাও হচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে। তাদের ভুলের কারণে অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। আশা করছি, গ্রাহক আগামীতে আরও ভালো সেবা পাবে।