রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেল আরোহীর জুতার ভিতরে পাওয়া গেল ১৮টি স্বর্ণের বার। আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকায় দ্রুত গতির দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় উভয় মোটরসাইকেল আরোহী।
এ সময় বিপ্লব হোসেন নামে একজনের জুতার ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ে ১৮টি স্বর্ণের বার। বিপ্লব হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপ্লব স্বর্ণের বারগুলো বৈধ দাবি করে জানান ১৮টি নয় ২০টি স্বর্ণের বার তার কাছে ছিল।
দুর্ঘটনায় শান্ত নামের অপর মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি গ্রামের জনাব আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এরা হলেন বিপ্লবের মোটরসাইকেলের যাত্রী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দেওয়ান মো. ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মো. বাদশা মিয়া, আব্দুল করিম শেখ, দৌলতদিয়ার আঞ্জু বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শী আঞ্জু বেগম জানান দৌলতদিয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় দুইটি দ্রুত গাতির পালসার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল দুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ সময় রাস্তার উপর পড়ে থাকা চামড়ার জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করে পুলিশকে দেন। বিপ্লবের মোটরসাইকেলের যাত্রী দেওয়ান ইসমাইল হোসেন জানান তিনি কুষ্টিয়াতে বিএডিসির চাকুরীতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিল। বিপ্লবও একই দিকে আসছিল বলে তিনি তার মোটরসাইকেলে ওঠেন এবং গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় নেমে তিনি কুষ্টিয়ায় যাবেন। স্বর্ণের বার সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
ওসি বলেন, আহত বিপ্লব হোসেনের কাছে স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়নি। স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা আবার স্থানীয়রাই তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে সে বর্তমানে চিচিকিৎসাধীন আছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন যে ১৮টি নয় ২০টি স্বর্ণের বার ছিল এবং তার কাগজ পত্র আছে বলে দাবি আহত বিপ্লবের। দুইটি স্বর্ণের বার হারিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রতিটি বারের ওজন ১০০ গ্রাম।