ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাণিজ্যিক ভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। ফাইভ-জি প্রযুক্তি বাস্তবায়নে ৮০ শতাংশ ইক্যুইপমেন্ট বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তবে ব্যয় সংকোচনের জন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ছিল জুলাই ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ নাগাদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা কৃচ্ছ্রতা সাধনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। প্রকল্পের ৮০ শতাংশ ব্যয় ফরেন কারেন্সি (বিদেশি মুদ্রা) মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এতে করে রিজার্ভ থেকে ব্যয় পরিশোধ করতে হবে। তাই এটা স্থগিত করা হয়েছে। এটা পরে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য একনেক সভায় থেকে বৈদেশিক ঋণ খুঁজতে বলা হয়েছে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন আল রশীদ বলেন, টেলিটকের ফোরজি পুরোপুরিভাবে সফল হয়নি। তাই আগে ফোর-জি পরে ফাইভ-জি। প্রকল্পের ৮০ শতাংশ রিজার্ভ থেকে দিয়ে আমদানি করতে হবে। তাই বিদেশি সোর্স থেকে নিয়ে আলোচনা হবে।
ফাইভ-জি প্রকল্প এলাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গণভবনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি গূরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো, মোহাম্মদপুর, শের-ই বাংলা নগর, বনানী, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও উত্তরা থানা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বঙ্গভবন ও সচিবালয়সহ মতিঝিল, রমনা, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো।
সরকারঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইলসেবা প্রদান করার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটনের কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের ফাইভ-জি সেবা চালুকরণে উৎসাহিত করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম:
ঢাকা শহরে টেলিটকের বিদ্যমান ২০০টি ফাইভ-জি বিটিএস সাইটে ফাইভ-জি প্রযুক্তিনির্ভর টেলিকম যন্ত্র সংযোজন, টাওয়ার ও কক্ষ অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার, বিদ্যুৎ সংযোগের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, রেকটিফায়ার ও ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ, নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটর হতে ভাড়াভিত্তিতে প্রস্তাবিত ২০০টি ফাইভ-জি সাইটে উচ্চগতির লাস্টমাইল ট্রান্সমিশন সংযোজন, ৫০টি সাইটে মাইক্রোওয়েভ রেডিও যন্ত্রাংস স্থাপন এবং এক লাখ গ্রাহক ক্ষমতাসম্পন্ন আইএসএম প্ল্যাটফর্ম স্থাপন এবং বিদ্যমান কোর নেটওয়ার্ক সিস্টেমের প্রয়োজনীয় আপগ্রেডেশন ও সম্প্রসারণ।