শনিবার (০১ জানুয়ারী, ২০২২) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৬তম আসরের পর্দা উঠছে। এবার প্রথমবারের মতো এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানী ঢাকার পূর্বাচলের স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে। পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সকালে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী চলবে এই মেলা।
গতকাল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মেলায় ২২৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর আগে ২৫তম বাণিজ্য মেলায় ৫৫৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘করোনার প্রভাব ও যাতায়াতব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা সংশয় থাকায় অন্যবারের তুলনায় এবার মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম। এরই মধ্যে ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়নের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় যাতায়াতের জন্য ৩০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ইপিবিসচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘নতুন জায়গায় নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমাদের কাজ প্রায় শেষ। প্রতিষ্ঠানগুলো আশা করছে, মেলা উদ্বোধনের আগেই তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ শতভাগ শেষ হবে।’ তিনি বলেন, ‘এবার প্রদর্শনীর মূল হলে ১৬০টি স্টল থাকছে। হলের বাইরে সামনে থাকছে ২০টি প্যাভিলিয়ন। এ ছাড়া হলের পেছনে ১৫টি ফুড কোর্ট রাখা হয়েছে।’
১৯৯৫ সাল থেকে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ হয়ে আসছে। তবে সেখানে স্থায়ী প্যাভিলিয়ন ছিল না। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পরে ২১ অক্টোবর প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।