ত্বকের যত্নে ঘি এর ব্যবহার অনেক বেশি কার্যকরী। শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ঘি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এতে আছে ত্বকের উপযোগী ফ্যাটি এসিড, যা ত্বকের কোষে আর্দ্রতা পৌঁছে দেয়।
পরিমাণমত ঘি সামান্য গরম করে নিন। গোসলের আধাঘণ্টা আগে তিন থেকে পাঁচ মিনিট ভালোভাবে পুরো শরীরে মাসাজ করুন।ত্বককে আর্দ্রতা দিতে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ঘি কার্যকর। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মুখে ঘি দিয়ে মাসাজ করুন। ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ ও নরম। চাইলে ঘি এর সঙ্গে সামান্য পানিও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে আলতো করে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের যত্নে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘি খুব কার্যকর। কাঁচা দুধ, বেসন অথবা মসুর ডালের সঙ্গে সমপরিমাণ ঘি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পরিষ্কার ত্বকে পুরু করে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকে রোদে পোড়াভাব দূর হবে।
ঘিয়ে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ভালো কাজ করে। এ ছাড়া ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কোষে পুষ্টি জোগায়। তাই অকালবার্ধক্য থেকেও ত্বক রক্ষা পায়। তবে এ জন্য ভালো মানের বিশুদ্ধ ঘি প্রয়োজন। বডি অয়েলের বিকল্প হিসাবেই মূলত ঘিয়ের ব্যবহার। নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়েও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও আধঘণ্টা রেখে গোসল করে নিন। দেখবেন ত্বক আগের চেয়ে অনেকটাই কোমল হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : ত্বকের শুষ্কতা দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে
চোখের ডার্ক সার্কল কমাতেও ঘিয়ের জুড়ি নেই। চোখের চারপাশের ত্বক এতটাই কোমল হয় যে, সঠিক যত্ন না নিলে শুষ্কতা, বলিরেখা পড়তে পারে সহজেই। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে চোখের চারপাশে ঘি লাগিয়ে নিন। আঙুলের সাহায্যে আলতো করে মাসাজ করুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।
ঠোঁট ফাটা কিংবা ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন ঘি। এ জন্য প্রতিদিন রাতে অল্প ঘি নিয়ে পুরো ঠোঁটে মাসাজ করুন। সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে নিন।