দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা নিতে পারছেন এর গ্রাহকরা। ফলে দিন যত যাচ্ছে সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে মোবাইলের লেনদে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, নগদ, বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫ জন। এসব গ্রাহকের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে রয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লাখ আর শহরাঞ্চলে রয়েছে ৫ কোটি ২৪ লাখ। এসময়ে পুরুষ গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার এবং নারী গ্রাহক ৪ কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার। এই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ জন।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছরের একই মাসে (২০২১ সালের মার্চ মাস) এ মাধ্যমে বেতন পরিশোধ হয় ২ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যম বেতন পরিশোধের হার বেড়েছে ২৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে এ সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৭ হাজার ২১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মার্চ মাসে লেনদেন হয়েছিল ৫৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৯ শতাংশের বেশি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্যাশ ইন হয়েছে ২৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা এবং ক্যাশ আউট ২০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসেবে লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, পরিষেবার ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা, বিল পরিশোধ এবং কেনাকাটায় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।