দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর এক মাসের মাথায় শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই দিন বেলা ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। সেখানে এক লাখের বেশি লোক সমাগম হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের লাইন-১ এর ডিপো নির্মাণ হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে। এ কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিএমটিসিএল। পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।
“এরমধ্যে প্যাকেজে সিপি-১ এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন করার কাজটি শুরু হবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর। যেখানে ডিপো নির্মাণ করা হবে সেখানে অনেক উঁচু নিচু জায়গা আছে। সেগুলো ভরাট করার কাজ শুরু হবে। তারপর সেখানেই ডিপো নির্মাণ করা হবে।”
এমআরটি লাইন-১ হিসেবে চিহ্নিত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ হবে ভূগর্ভে। এ অংশে থাকবে মোট ১২টি স্টেশন।
আরেক অংশ হবে এলিভেটেড; সেই অংশ নতুন বাজার থেকে কুড়িল হয়ে যাবে পূর্বাচলে। ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটারের এ অংশে থাকবে মোট নয়টি স্টেশন।
পাতাল ও উড়াল মিলে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিদ্দিকি জানান, উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে দেশের প্রথম মেট্রোরেল গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর এ বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে; আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।