নতুন সদস্যরা পুঁজিবাজার আরও গতিশীল করতে অবদান রাখবে। বিশাল সম্ভাবনাময় দেশের শেয়ারবাজার। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নতুন সদস্যরা সহায়ক হবে। শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন ট্রেক (সদস্য) সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম একথা বলেন। ডিএসইর হল আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, পরিচালক সালমা নাসরিন, ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ডিএসইর নতুন ৫৫ সদস্যের মধ্যে ৫২ জনকে সনদ হস্তান্তর করা হয়।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অনেকে ভুল বুঝে পুঁজিবাজারকে অনুৎপাদনশীল খাত বলে মন্তব্য করে থাকেন। ওনারা হয়তো সেকেন্ডারি মার্কেটকেই ক্যাপিটাল মার্কেট মনে করেন। বাস্তবতা হলো-শেয়ারবাজারে প্রাইমারি, বন্ড এবং ডেরিভেটিবস মার্কেট আছে। এরমধ্যে প্রাইমারি ও বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে আসা অর্থ সরাসরি উৎপাদশীল খাতে ব্যবহার হয়। ফলে শিল্পায়নে পুঁজিবাজার অনেক বড় ভূমিকা রাখে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন ট্রেকহোল্ডাররা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেবে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শত্তিশালী ও পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো মুনাফা না পেলে কোনো বিনিয়োগকারী আসবে না। এই জন্য বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজার আরও বড় হবে। অর্থনীতির সঙ্গে এগিয়ে যাবে দেশের পুঁজিবাজার। আগে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য আবেদন করত। এখন তার উল্টো হচ্ছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম। মানুষের কষ্টের সঞ্চয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। এই টাকার নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কষ্টের সঞ্চয়ে কোনো রিটার্ন না পেলে কেউ বাজারে আসবে না। রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের সূচক ২০ হাজার পয়েন্টে উঠবে। আর আগামী বছর ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে।