সমাজের সর্বস্তরের গ্রাহকদেরকে আরো অধিকতর উন্নত ব্যাংকিং সেবা প্রদান এবং ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে নোয়াখালী জেলার বক্সিরহাটে ৩০ জুলাই ২০১৯ইং তারিখে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্যাংকিং বুথের উদ্বোধন করা হয়েছে। একই দিনে ব্যাংকিং বুথের নীচ তলায় একটি এটিএম বুথের উদ্বোধন করা হয়। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসজেআইবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জনাব এম. শহীদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত ব্যাংকিং বুথ এবং এটিএম বুথের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম. আখতার হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের সাধারণ সেবা বিভাগের প্রধান জনাব মোঃ মাহবুবুর রশীদ, সুলতান মাহমুদ ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল জনাব শহিদুল হক, বিজবাগ এম কে হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ হানিফ, ১৩ নং রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নুরুল হোসাইন সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হানিফ, জনাব কবির আহমেদ, ব্যাংকের চৌমুহনী শাখার ব্যবস্থাপক জনাব মাহবুবুর রহমান এবং বক্সিরহাট ব্যাংকিং বুথের ইনচার্জ জনাব মোঃ খায়রুল ইসলাম-সহ স্থানীয় সুধী সমাজ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব এম. শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতিকে আরো বেগবান করা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনয়নের লক্ষ্যেই শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে আমরা শাখা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ব্যাংকিং বুথ চালু করতে শুরু করেছি। তাছাড়া আমরা নিত্যদিনের আর্থিক সেবা ও পণ্য খুব সহজে পৌঁছে দিতে চাই সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায়। বাংলাদেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ উপলদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে, দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ অতি জরুরী। মানুষ জানতে পেরেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে তাদের আর্থিক উন্নতির একমাত্র বন্ধু। আপনাদের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে আপনারা আমাদের সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে অত্র এলাকা-সহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবেন। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রমোন্নতির একটি চিত্র সেইসাথে ব্যাংকের জনপ্রিয় কিছু প্রকল্পের বিবরণ তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ব্যাংকের সমৃদ্ধি কামনা করে বুথ প্রাঙ্গণে পবিত্র কুরআন খতম, দুরূদ এবং দো’য়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।