পদ্মাসেতু হয়ে গ্যাস যাবে লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্ত হয়ে পাইপলাইন দিয়ে গোপালগঞ্জ-খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের কাছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে পদ্মাসেতুর গ্যাসলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। পদ্মা সেতুর রেল লিংকের পাশ দিয়ে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের আগস্টে।
শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর রেলপথের পূর্ব পাশে শুরু হয়েছে এসব পাইপ স্থাপনের কাজ। সেতুর ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার অংশে ৫৩১টি পাইপ বসানো হবে। পাইপগুলোর দৈর্ঘ্য ১২ মিটার, ব্যাস ৭৬০ মিলিমিটার, ওজন পাঁচ দশমিক ৬৭ টন। পুরোদমে কাজ চলমান। ২০২২ সালের জুন মাসে গ্যাস পাইপ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমেই স্বপ্ন পূরণ হবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। ফলে এক পদ্মাসেতু শুধু সড়ক পথ নয়, রেলপথ ও গ্যাস সংযোগের সুবিধা দিতে যাচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষদের।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরোদমে পদ্মা সেতু দিয়ে গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ চলমান। কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। আশা করছি আগামী জুন (২০২২) মাসে পাইপ স্থাপনের কাজ শেষ হবে। সেতুর দুটি পথ আছে। একটি সড়ক পথ অন্যটি রেলপথ। গ্যাসপাইপ নির্মাণ কাজ রেলপথ দিয়ে চলমান।
আরও পড়ুন : আগামী বছর জুনের মধ্যে পদ্মাসেতু খুলে দেওয়া হবে
এর আগে চীন থেকে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রকল্প এলাকায় গ্যাসপাইপ এনে সেতুর দুইপাড়ে রাখা হয়। সাতটি মডিউলে ভাগ করে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে ৬ দশমিক ৭০ কিলোমিটার গ্যাসপাইপ বসবে। এই পাইপলাইন সেতুর ১ নম্বর ও ৪২ নম্বর পিয়ার দিয়ে মাটিতে নামিয়ে আনা হবে। যুক্ত হবে জিটিসিএলের সাবস্টেশনে। সেতুর দুই প্রান্তে দুটি স্টেশন থাকবে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে গ্যাস লাঙ্গলবন্দ ব্রাঞ্চ স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর হয়ে লৌহজং উপজেলার মাওয়ার সাবস্টেশনে যাবে। এখান থেকেই গ্যাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলে।