বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৬ দিনে ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৫টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক।
এর আগে সদ্য বিদায়ী মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। আর দিনে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৭০৪ কোটির টাকার বেশি।
এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।