প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম উড়াল মহাসড়ক তথা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-তেজগাঁও অংশের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোনাজাতে অংশ নেন। পরে আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশে অংশ নেন।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী উড়ালসড়কের প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন। প্রধানমন্ত্রী কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় গাড়ি প্রতি ৮০ টাকা হারে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন। পরে তিনি গাড়িতে করে উড়ালসড়ক হয়ে আগারগাঁওয়ের সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হন।
আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সাধারণ যানবাহন উড়ালসড়কে চলাচল করতে পারবে। আর তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ আগামী বছরের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এ অংশের ১৫টি র্যাম্পের ১৩টি খুলছে, যার দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার।
‘সাপোর্ট টু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পসহ সব মিলিয়ে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে উড়াল মহাসড়ক নির্মাণে। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে রেললাইনের ওপর এবং পাশ দিয়ে বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, মালিবাগ, কমলাপুর হয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। এ পথে গাড়ি ওঠানামায় থাকছে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প।
নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় ৬০ এবং র্যাম্পে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলতে পারবে। এর ফলে ১২ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পৌঁছাবে গাড়ি। বর্তমানে কর্মদিবসে একই পথে ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। যানজটের কবলে পড়লে লাগে কয়েক ঘণ্টা।