সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

বছর শেষে ৬.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলো এডিবি

প্রকাশঃ

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের ৬.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলো এডিবি এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ১ শতাংশে।

বুধবার (৬ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ে ‘এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক ২০১৮’র এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং ভার্চুয়ালি এ তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ ও দেশের বাজারে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই অর্থবছর সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য, গ্যাস ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হবে ৬ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিক থেকে এশীয় দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে বাংলাদেশ। এটি রীতিমতো প্রশংসনীয়৷ শক্তিশালী এ পুনরুদ্ধারে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা, সাপোর্টিভ ফিসক্যাল পলিসি, প্রবাসী আয়ের ওপর প্রণোদনা এবং সঠিক মুদ্রানীতি নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

এডিবির সদরদপ্তর ম্যানিলা থেকে একযোগে সদস্য দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে তা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ১ শতাংশে।

এ ছাড়াও, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে বিশ্ব-অর্থনীতি যে চাপের মধ্যে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও উচ্চ আমদানি ব্যয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে তার ওপর নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি কতটা অর্জিত হবে সে বিষয়টি।

অন্যদিকে, করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী ভোগ-ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় অংকের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের পরও ডলারের বিপরীতে টাকাকে দুর্বল করতে পারে।

এডিবি বলেছে, গত অর্থবছরে এর আগের বছরের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হলেও চলতি অর্থবছর তা বেড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে।এ দিকে, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে চলতি হিসেবে ঘাটতি জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে যা গত অর্থবছরে ছিল মাত্র ০ দশমিক ৯ শতাংশ।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ