চলতি হজ মৌসুম-২০১৯ সালে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের আগাম ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সৌদি আরবের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায় অবস্থান করছে।
ঢাকায় সফররত সৌদি আরবের ডাইরেক্টর জেনারেল (পাসপোর্ট) মেজর জেনারেল সোলাইমান আব্দুল আজিজ ইয়াহ ইয়াহর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সম্মতির কথা জানান।
ওই প্রতিনিধি দল ঢাকায় বিমান অফিসের কার্যক্রম, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ডেস্ক ও আশকোনা হজ অফিস সরেজমিনে দেখার পর তারা তাদের সিদ্বান্ত জানাবেন। তবে এবার সৌদি আরব বেশ ইতিবাচক মনোভাব ও আগ্রহ নিয়েই সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করেছে। এ বিষয়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই আমরা তাদেরকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করেছি। তারা সব দেখার পর যথেষ্ট আন্তরিক মনোভাব প্রদর্শন করেছেন। এতে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গেই বলতে পারি, হজ যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটা হয়ে গেলে ইমিগ্রেশনের জন্য প্রতি বছরের মতো এবার আর হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।
ঢাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বৃহস্পতিবার এই দল আশকোনা হজ অফিস পরিদর্শন করে। বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্য অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধাদি পর্যবেক্ষণ করেন। তারা জানতে চান, সৌদি আরবে যেই মান ও প্রযুক্তিগত সুবিধায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয় তা ঢাকায় সম্ভব কি না। বিশেষ করে আশকোনা হজ অফিসের বর্তমান অবকাঠামোগত অবস্থায় কতটা নিরাপদ ও দক্ষতার সঙ্গে সৌদি থেকে আগত টিম কাজ করতে সক্ষম হবেন কি না এ ধরনের প্রশ্ন তোলা হয়। জবাবে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিশ্চিত করা হয় বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে হজ অফিসের বর্তমান ইমিগ্রেশনের আয়তন আরও সংস্কার ও সম্প্রসারণ করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর হজযাত্রীরা জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌছার পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৌদি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়। এতে ৫-৬ ঘণ্টা উড়োজাহাজ ভ্রমণে ক্লান্ত হজযাত্রীরা ইমিগ্রেশনের জন্যও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এ পদক্ষেপ কার্যকর হলে অপেক্ষার ভোগান্তি আর থাকবে না।