দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, অফিসে অর্ধেক জনবল নিয়ে পরিচালনার করাসহ আরও যেসকল বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে সেগুলো আরও বাড়ানো হবে কিনা তা এক সপ্তাহ পর জানা যাবে বলে বলেছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর এই বিধিনিষেধ বাড়তে পারে, সেটা কী আমরা বলতে পারি— এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে…। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে…এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন, এটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখবো এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।
গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে। এ জন্য আমাদের একটু পরে সেটা (চূড়ান্ত সংক্রমণ) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা চাইবো, যাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সবার জন্যই ভালো।
পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরও আমাদের সহযোগিতার করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা ভালো রেজাল্ট পাবো। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করব।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষকে বলব, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। আমাদের অ্যানাউন্সমেন্টে বলা হবে আপনারা মাস্ক পরেন। একটা ডেট দেওয়া হবে যে, আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্ট নামবে। তাই আগে থেকে সতর্ক করে নিয়েই কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, মানুষ এরই মধ্যে জানানো হয়েছে যে, এটা (করোনা সংক্রমণ) বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ সচেতন হওয়া শুরু করেছে। তাদের কাছে বার্তা চলে গেছে। আমরা চাই, সবাইকে জানিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তখন বলার একটা যৌক্তিকতা থাকবে যে, আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম।