জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিলাসবহুল ৩৫০০সিসি গাড়ি আমদানির সুযোগ দিতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ অথৈর্নতিক অঞ্চল কতৃর্পক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। দেশের অথৈর্নতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির জন্য সম্প্রতি এনবিআরে পাঠানো বেজার প্রস্তাবে একথা জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের বেশি দূরুত্বে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৩৫০০সিসির বিলাসবহুল গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে দেশে বিনিয়োগ অনেক বাড়বে বলে মনে করেন বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের অনুরোধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৩৫০০সিসি গাড়ি আমদানিকৃত প্রস্তাব দিয়েছি। বতর্মান সুবিধা ২০০০ সিসি পযর্ন্ত গাড়ি শুল্কমুক্ত আমদানি ২১৬ শতাংশ শুল্ক ছাড় যা দেশের মহাসড়কে যানজটের কারণে কম সক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন বেশি দূরত্বের যাতায়াতের অনুপোযোগী এবং ২০০০ সিসির ভালো মানের গাড়িও পযার্প্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, বতর্মানে যে কোনো অথৈর্নতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীর শিল্প ইউনিট ২০০০ সিসি পযর্ন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করলে আমদানিকারককে কোনো ধরনের কাস্টম ডিউটি, সম্পূরক শুল্ক, রেগুলারেটরি ডিউটি এবং ভ্যাট প্রদান করতে হয় না।
২০১৫ সালের নভেম্বরে এনবিআর, অথৈর্নতিক অঞ্চলে যেসব শিল্প ইউনিট কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ অথবা কমপক্ষে ২৫০ জনের কমর্সংস্থান করলে তাদের জন্য এই আদেশ জারি করেন। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পুরনো গাড়ি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে শুল্ক সুবিধা পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং ৫০০ জনের কমর্সংস্থান সৃষ্টির শর্ত ছিল পরে বেজার অনুরোধে সেই শর্ত শিথিল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন পযর্ন্ত কোনো বিনিয়োগকারী শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২০০০সিসির সেডান কার আমদানি করতে পারেনি। শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বেজার পরিচালনা পষের্দ অনুমোদিত ছিল। তবে ওই বৈঠকে গাড়ির ইঞ্জিনের সক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ ছিল না।
এদিকে, এনবিআরের কমর্কতার্রা বলছেন, বেজার প্রস্তাব বাতিলের জন্য রাজস্ব বোডের্র পরিচালনা পষের্দর কাছে পাঠানো হয়েছে। কারণ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় কমবে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ৩৫০০ সিসির বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি আমদানিতে ৬০৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়। ২০০০সিসির ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য শুল্ক ২১৬ শতাংশ। রাজস্ব বোডের্র উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, দুই ধরনের গাড়ির শুল্কায়নে ব্যাপক পাথর্ক্য রয়েছে। এই জন্য বেজার প্রস্তাব অনুমোদন হলে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাবে। সাধারণত বিলাসবহুল গাড়ি বিনিয়োগকারীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকেন। ফলে বিপুলসংখ্যক গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।