বিনিয়োগবান্ধব করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে । এখন থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৭ শতাংশ। আর ঋণ বা লিজ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ১১ শতাংশ। আগামী ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান বাজার হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় না রেখে তুলনামূলক উচ্চসুদ বা মুনাফার হারে আমানত গ্রহণের ফলে অযৌক্তিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্চসুদ/মুনাফার হারে গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করতে হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা হ্রাস, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার বৃদ্ধি এবং উৎপাদনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এ প্রেক্ষাপটে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বা লিজ বা বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফার হার যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের ওপর সুদ বা মুনাফার হার সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ এবং সব ধরনের ঋণ/লিজ/বিনিয়োগের ওপর সুদ বা মুনাফার কার্যকরী হার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশে নির্ধারণ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ নির্দেশনা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার পর নতুনভাবে আহরিত সব আমানত এবং বিদ্যমান ও নতুনভাবে মঞ্জুরিকৃত সব ঋণ বা লিজ বা বিনিযয়োগের সুদ বা মুনাফার হার এই সার্কুলারে বর্ণিত সর্বোচ্চ সুদ/মুনাফার হারের অধিক হবে না। তবে এ নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার পূর্বে আহরিত আমানতের ক্ষেত্রে পূর্ব ঘোষিত সুদ/মুনাফার হার উক্ত আমানতের বর্তমান মেয়াদপৃর্তির পর এ নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ক), (ঘ) ও (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।