বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার সকালের দিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৫। এর মধ্যে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৮১ জন।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনও দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ২৫০। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার ২৫০ জনের।
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ দুই হাজার ৫৬২। এর মধ্যে ৭১ হাজার ৬৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৬। এর মধ্যে এক লাখ ২৬ হাজার ৬৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ১৩৪। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশেষ করে যেসব তরুণের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পরও উপসর্গ থাকে না, তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য বেশি হুমকি তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।