বিশ্বব্যাপী করোনার অব্যাহত তাণ্ডবে দীর্ঘ হয়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। যেখানে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ছুঁতে চলেছে। অন্যদিকে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৬ কোটি ছুঁই ছুঁই।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭০ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৮১ জনে। নতুন করে ১২ হাজার ৩৭৬ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৭ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৭ হাজার ভুক্তভোগী। এর মধ্যে গত একদিনেই বেঁচে ফিরেছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪২ জন রোগী।
এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৫ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৭ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৬৪ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩১ জনের।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩ জন।
পাঁচে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ২২ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫৩ হাজার ৮১৬ জনের।
ছয়ে থাকা স্পেনে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ লাখ ৮২ হাজার অতিক্রম করেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৪৫ হাজার ৭৮৪ জনের।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এমতাবস্থায় নতুন করে চার সপ্তাহের লকডাউন চলছে সেখানে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫৯ হাজার ৬৯৯ জনের।
একইপথে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দ্বিতীয় দফায় ক্রমেই করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় গত ৬ নভেম্বর থেকে সেখানে লকডাউন জারি হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৪২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৫৭ হাজার ৪৫ জনের। সুস্থতা লাভ করেছেন এক-তৃতীয়াংশ রোগী।
মেক্সিকোয় করোনার ভুক্তভোগী ১১ লাখ ২২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৬৫ জনের। মৃত্যু হারে যা যেকোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
এদিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩ জন মানুষ। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৬ জন সুস্থতা লাভ করলেও প্রাণহানি ঘটেছে ৬ হাজার ৭১৩ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৮টি দেশ অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।