ভারতে তিনমাসেরও বেশি লকডাউনে থমকে গিয়েছিল দেশের সকল কর্মকান্ড পর্যায়ক্রমে লকডাউন উঠে যাওয়ায় বিয়ের দিন স্থির করে ফেলেছিলেন দেশটির রাজ্য মধ্যপ্রদেশের শাজাপুরের এক পরিবার। তেত্রিশ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে পাকা হয়েছিল উজ্জ্বয়িনীর পাত্রের। কিন্তু শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হওয়ার আগেই পাত্রীর করুণ পরিণতি। বিউটি পার্লারে সাজতে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন বিয়ের কনে। পার্লারে ঢুকে তাঁকে ছুরির কোপ মেরে খুন করে আততায়ী। বিয়ের সাজ নিয়ে যুবতীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকে পার্লারের মেঝেতে।
বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল রবিবার সন্ধেবেলা। তার আগে বোনকে নিয়ে দুপুর নাগাদ ওই যুবতী বিউটি পার্লারে গিয়েছিলেন কনের সাজ সাজতে। বিয়ের আনন্দে মশগুল ছিলেন তিনি। ভাবতেই পারেননি বিপদ কীভাবে ওঁৎ পেতে রয়েছে। যুবতীর বোন জানিয়েছেন, “রাহুল নামে একজন ওকে ফোন করে। ও জানায় যে পার্লারে আছে। রাহুল ওকে জানায়, পার্লারে গিয়েই কথা বলবে। এর ঠিক ৫ মিনিটের মধ্যে ছেলেটি বাইকে করে আসে এবং ছুরি বের করে ওর গলা কেটে দিয়ে চম্পট দেয়।” কিছু বুঝে ওঠার আগে চোখের সামনে হাড়হিম করা এই দৃশ্য দেখে থ হয়ে যান সকলে।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে যুবতীকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিয়ের তখন মাত্র কয়েকঘণ্টা বাকি। এমন নৃশংস ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি ক্লু হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এসপি গৌরব তিওয়ারি জানাচ্ছেন, “মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তিন বছর ধরে যোগাযোগ ছিল এই মহিলার। ছেলেটি অবিবাহিত। যুবতীর প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই ছেলেটি ওঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকে। যুবতী তাতে রাজি ছিল না। ছেলেটি হুমকিও দিত যে তাকে বিয়ে না করলে, যুবতী খুন হয়ে যেতে পারেন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, বাইকে করে দু’জন সেদিন পার্লারে আসে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।”
মেয়েকে যে এভাবে কেউ বিয়ের জন্য চাপ দিত, খুনের হুমকি দিত – তা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। বিয়ের দিন এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সবটা প্রকাশ্যে চলে আসে।