মন্ত্রিসভার অনুমোদিত ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, এবার ২১ জুলাই ঈদুল আজহা হিসেব করে ২০, ২১ ও ২২ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটি। ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার। ২৩, ২৪ ও ২৫ জুলাই যথাক্রমে শুক্র, শনি ও রোববার হওয়ায় বর্তমান নিয়ম অনুযায়ি সাপ্তাহিক ছুটি। সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি তিন দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি তিন দিন মিলিয়ে ঈদের মোট ছুটি হবে ৬ দিন। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে রোববার বাদে ঈদের ছুটি হবে ৫ দিন।
যদি চলমান লকডাউন অব্যাহত থাকে, তাহলে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারে সঙ্গে রোববারও ছুটি যোগ হবে। আর যদি লকডাউন অব্যাহত না থাকে, তাহলে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারে সঙ্গে রোববার ছুটি নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি তিন দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন (শুক্র ও শনি) যোগ হয়ে ৫ দিন ছুটি হবে। সে অনুযায়ি, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে ঈদের ছুটি হবে ৫ দিন।
আগামী ১০ জুলাই (২৯ জিলকদ) সন্ধ্যায় পবিত্র হজের মাস জিলহজ গণনা শুরু ও পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক বসবে। এদিন যদি বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায় তবে ১১ জুলাই পবিত্র জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ২০ জুলাই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
যদি ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যায় তবে ১২ জুলাই পবিত্র জিলহজ মাস শুরু হবে এবং ২১ জুলাই যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
নিয়মানুযায়ী, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরের দিন সবমিলিয়ে মোট ৩ দিন ঈদের ছুটি থাকে। তবে সর্বশেষ পবিত্র ঈদুল ফিতরে সে নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। করোনা সংক্রমণের কারণে মানুষের ঈদযাত্রা ঠেকাতে ঈদের দিন থেকে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ঈদের ছুটি গতবারের মতো ঈদের দিন থেকে নাকি আগের দিন থেকে, তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি যে হারে বাড়ছে, ঈদের আগে সন্তোষজনকহারে না কমলে বিধিনিষেধ থাকবে। কিছু শর্ত হয়তো শিথিল করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি কম-বেশি হতে পারে।