ব্যাংকারদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার–সংকট কাটাতে ডলার খরচ করে বিদেশে গিয়ে বা দেশে বসে এ ধরনের কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
রবিবার (২২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
সম্প্রতি সরকারের একটি পরিপত্রের আলোকে এ নিষেধাজ্ঞা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক । এ বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে অর্থ ছাড় না করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করেছে। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান ও এনজিও এর কর্মকর্তারা বিদেশে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ও অংশগ্রহণ ফি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংক থেকে নেওয়ার সুযোগ ছিল।
মূলত রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও ডলার সংকট নিরসন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ডলারের যেন সংকট সৃষ্টি না হয় তাই বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিলের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা জারি করে।
এদিকে দেশের বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে মার্কিন ডলারের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক (১৬ মে) ডলারের দর বেঁধে দেয় ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু তাদের বেঁধে দেওয়া এ রেট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও মানছে না। এখনও ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। আবার কোনো কোনো ব্যাংক ৯৫/৯৬ টাকাও নিচ্ছে বলে জানা গেছে।