ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে সব ভার্চুয়াল মুদ্রার দাম কমেছে ৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিটকয়েনের দাম কমেছে ৮.৮ শতাংশ। অন্যান্য মুদ্রার আরো বেশি অবমূল্যায়ন হয়েছে। ইথেরিয়ামের দাম ১১.১ শতাংশ কমেছে। খবর ইনডিপেনডেন্ট ডট ইউকে।
লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজারে এমন ধস নেমেছে। সম্ভবত দ্রুত অবমূল্যায়ন হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়া শুরু করেছিলেন। ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট কয়েনমার্কেটক্যাপ অনুসারে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট লেনদেন ১১৩ শতাংশ বেড়েছে।
নতুন করে এ পতনের কারণে বিটকয়েনের দাম ৪০ হাজার ডলারের নিচে চলে গেছে। কিছু বিশ্লেষক আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন যে, ভার্চুয়াল এ মুদ্রার পতন কতটা খারাপ হতে পারে। তাদের ভাষ্য, ‘ক্রিপ্টো উইনটার’ (ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে রেকর্ড পতন) নিয়ে ক্রমবর্ধমান ভয় সত্য হওয়ার সর্বশেষ ইংগিত এটি। এরই মধ্যে বিটকয়েন বাজেভাবে নতুন বছর শুরু করেছে। ভার্চুয়াল মুদ্রাটির সাম্প্রতিক প্রবণতা গত বছরের শেষ দিকে রেকর্ড ব্রেকিং পারফরম্যান্সের সম্পূর্ণ বিপরীত। গত নভেম্বরে বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ প্রায় ৭০ হাজার ডলার ছুঁয়েছিল। তবে এখনকার দাম সেই রেকর্ডের তুলনায় ৪৪ শতাংশ কম।
কিছু সমর্থক আশা করেছিলেন, বিটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে দাম বাড়ার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অব্যাহত রাখবে। তবে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকা সত্ত্বেও ভার্চুয়াল মুদ্রা দাম নিয়ে সংগ্রাম করছে। সময়ের সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম যেন কমছেই।