কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশবাসীর জন্য যখন উদ্ভাবিত হবে তখনই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ-১৯-এর আওতায় অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ হিসাবে এই সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা ২০২০-এর অংশ হিসাবে ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোন্তফা কামাল বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হার্টভিগ শ্যাফার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার জানানো হয়, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক মার্সি টেম্বনও সভায় সংযুক্ত হন।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের আওতায় দেশে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ধকল সামলানোর জন্য মোট ৫০ কোটি ডলার থেকে জরুরি ভিত্তিতে ২৫ কোটি ডলার অবমুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ পক্ষ বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, করোনভাইরাস মহামারির কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাতের রক্ষণাবেক্ষণে বিশ্বব্যাংক সমর্থিত প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি)’র অধীনে চলতি অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তার তৃতীয় কিস্তি দ্রুত ছাড় করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পক্ষ ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে অনুরোধ করেছে।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার জানান, সরকার জবস ডিপিসি প্রকল্পের বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করেছে এবং বাকি শর্তগুলো খুব শিগগিরই পূরণ করা হবে।
সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম আইডিএ গ্রহীতা দেশ উল্লেখ করে কামাল জনসংখ্যা বিবেচনা করে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য দ্রুততার সাথে বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা বরাদ্দের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সহসভাপতি হার্টভিগ শ্যাফারের সহায়তা কামনা করেন ।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন দ্রুত ও সময়োপযোগী প্রয়াসের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশ আইডিএ-১৮-এর আওতায় আইডিএ থেকে ৫০০ কোটি ডলার এবং এসইউএফ থেকে ২০০ কোটি ডলার মূল্যমানের প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সাফল্য দেখিয়েছে, যা আইডিএ দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
তিনি আইডিএ-১৯-এর আওতায় বাংলাদেশকে আরো বেশি বরাদ্দ দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান।