মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার গত দেড় দশকে অন্তত তিনগুণ বেড়েছে। এই বৃদ্ধির হারটা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে কোটি মানুষের নগরী ঢাকায়। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ চিত্র উঠে এসেছে।
যদিও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দূষণরোধে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি। এর অংশ হিসেবে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ও পুনর্ব্যবহার দেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাইরের শহরাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ২০০৫ সালে ছিল তিন কেজি। ২০২০ সালে যা তিনগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় কেজিতে। অন্যদিকে ঢাকার বাসিন্দারাই বছরে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার করেন ২৪ কেজি, যা জাতীয় গড় থেকে উল্লেখযোগ্যহারে বেশি।
করোনা সংকটের কারণে প্লাস্টিক দূষণ খারাপ অবস্থায় এসেছে। বিশেষ করে মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামাদিতে (পিপিই) প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে। এসব প্লাস্টিক বর্জ্যের একটি বড় অংশ জলাশয় ও নদীতে ফেলা হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন বলেন, নগরায়নের ফলে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। (অব্যবস্থাপনার) ফলে দূষণও তীব্রভাবে বাড়ছে। করোনা সংকট প্লাস্টিক বর্জ্যের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে এখন টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। একটি পণ্য ডিজাইন করা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, পুনর্ব্যবহার করা— দেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।