বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সারাবছর কলা পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, মানসিক চাপ কমাতে কলা একটি মহৌষধ। স্ট্রেস কমাতে অব্যর্থ কলা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান যা শরীরে সিরোটোনিমে পরিণত হয়। এই সিরোটোনিন স্ট্রেস কমিয়ে মুড ভাল করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত চাপের সময় কলা খেয়ে নিন। চাপ কমবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি মোটামুটি সাইজের কলায় রয়েছে, প্রায় ৯০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২১০ ক্যালোরি, ৫৪ গ্রাম শর্করা, ২ গ্রাম ফাইবার, ২৮ গ্রাম সুগার আর ৬ গ্রাম প্রোটিন। পাকা কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
কলায় থাকা পটাশিয়াম আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা আমাদের প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম জমতে দেয় না। ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি রোধ করে।
কলায় আছে ট্রিপটোফ্যান নামের এক রকম অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়। সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এই উপাদান আমাদের স্নায়ুকে শিথিল করে। ফলে ঘুম ভালো হয়।
কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং সল্যুবল ফাইবার শরীরে শক্তির জোগান দেয়। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেতে পারলে আমাদের হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ বা সচল থাকবে।
এ ছাড়া কলায় আরো রয়েছে, ২ শতাংশ ভিটামিন-এ, ৩৪ শতাংশ ভিটামিন-সি, ২ শতাংশ আয়রন, ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-৬, ১৬ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কলার অবদান অতুলনীয়। কলার ভিটামিন বি-৬, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মুক্তিপেতে কলার জুড়ি নেই। কলায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খুবই উপকারী।
কলার শুধু শাঁস নয়। কলার খোসাও দারুণ উপকারি। সোরেসিস, অ্যাকনের মতো ত্বকের সমস্যায় ভাল কাজ করে কলার খোসা। সদ্য ছাড়ানো টাটকা কলার খোসা ত্বকের সোরেসিসের উপর ঘষে নিন। সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে মুখে ধুয়ে ফেলুন।