রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

মালয়েশিয়ার পর্যটনখাত বিদেশিদের জন্য খুলে দেয়ার ঘোষণা

প্রকাশঃ

মালয়েশিয়ার পর্যটনখাত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে দেশটি। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ২ বছর দেশটির সব পর্যটন স্পটগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। এই পর্যটন শিল্প থেকে মোটা অংকের আয় জিডিপিতে ভূমিকা রাখে। বিদেশি ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই খাতে মোটা অংকের বিনিয়োগ করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

এখন পর্যন্ত পর্যটন ভিসাসহ স্পটগুলো বন্ধ থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ডিসেম্বরে সব কিছু খুলে দেয়া হবে। এর আগে ৯০ শতাংশ টিকা প্রদান করেই খুলবে পর্যটনের দোয়ার। প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

ইতোমধ্যেই পর্যটন স্পটগুলোতে চলছে সংস্কারের কাজ। মালয়েশিয়া আন্দামান সাগরে ১০৪টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত লংকাউই দ্বীপমালা স্থানীয় পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে যারা টিকা দুই ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। তবে দেশটির উপকূলীয় এলাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি এই দ্বীপমালা সারা বিশ্বের ট্যুরিস্টদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। ধস নেমেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে। চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্পসহ সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য। গত দুই বছরে মালয়েশিয়ায় পর্যটক একেবারে তলানিতে নেমেছে। ফলে দেশটির পর্যটন শিল্পে চূড়ান্ত ধস নেমে এসেছে। এমন তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়া ট্যুরিজম প্রোমোশন বোর্ড।

মালয়েশিয়া ট্যুরিজম প্রোমোশন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ায় পর্যটকের সংখ্যা ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গেছে। ২০১৯ সালে যেখানে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ কোটির বেশি।

মালয়েশিয়া ট্যুরিজম প্রোমোশন বোর্ড বলছে, মহামারীর কারণে পর্যটন খাতে আয় কমেছে প্রায় ৮১ শতাংশ। ২০১৯ সালে পর্যটন খাতে আয় ছিল ৬৬ দশমিক ১ বিলিয়ন রিঙ্গিত। ২০১৯ সালে পর্যটন খাত থেকে আয় হয়েছিল ২৪ হাজার ২ কোটি রিঙ্গিত, যা দেশটির জিডিপির ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে গত বছরের মার্চে শুরু হওয়া লকডাউনে বিশ্বের অন্য দেশের মতো মালয়েশিয়ার পর্যটন খাতও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পাশাপাশি দেশটির অর্থনীতি তলানিতে পৌঁছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার বিভিন্ন ধাপে ধাপে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে সরকারের এসব বাস্তবমুখী পরিকল্পনায় আগামী বছরের শুরু থেকে এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত এই মালয়েশিয়া তার চিরচেনা রূপ ফিরে পাবে। চলতি মাস থেকে করোনার প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। সরকারও সর্বসাধারণকে ভ্যাকসিন গণহারে প্রদান করে ইতোমধ্যে ৮৭ ভাগ সম্পন্ন করে ফেলেছে।

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ