মেট্রোরেল আগামী ১৭ আগস্ট শনিবার থেকে ফের চালু হবে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন আপাতত বন্ধ থাকবে।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠক হয়। এ বৈঠকে মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়টি তুললে ধরেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। এ সময় দ্রুত তা চালুর নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে আগামী শনিবার যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
যদিও মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে আজ দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘মেট্রোরেল ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিবহন। এটা আবার চালুর বিষয় নিয়ে আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি। তারপর মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
তবে রাতে এ বিষয়ে কথা বলতে এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীকে ফোন করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মেট্রোরেলের কোচ, লাইন ও সংকেত ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায় সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪ স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল যে কোনো সময় চালু করা সম্ভব।
গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। পরে ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। এ সময় তিনি মিরপুর-১০ স্টেশন ঘুরে দেখেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।