নতুন আয়কর আইন অনুসারে করদাতাকে জীবনযাত্রার খরচের বিবরণীতে মুঠোফোনের রিচার্জ, ইন্টারনেট প্যাকেজের তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিতে হবে। এ জন্য বছরজুড়ে মোবাইল রিচার্জ বাবদ খরচের হিসাব লিখে রাখতে হবে।
আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় আইটি ১১ ‘গ’ (২০২৩) ফরমে খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এ তথ্য দিতে হবে। নতুন বিধিমালার আইটি-১০ বিবিধারা মোতাবেক এ বিবরণী দিতে হবে। এ ছাড়া আয়কর রিটার্নে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে।
আগে ১১ ধরনের তথ্য এনবিআরকে দিতে হতো। নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, জীবনযাত্রার বিবরণীতে এখন থেকে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো ব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ, আবাসন সংক্রান্ত খরচ, গাড়ির ব্যয়, পরিষেবা খরচ, শিক্ষা ব্যয়, নিজ খরচে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ ও অবকাশ-সংক্রান্ত তথ্য, উৎসবের খরচ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য উৎসে করের হিসাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধের তথ্য।
এনবিআর কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিবরণীর মাধ্যমে এনবিআর দেখতে চায়, আপনি কতটা ধনী, আপনি কত টাকা আয় করেন, কত খরচ করেন, আপনার সামাজিক অবস্থান কী। আপনার বৈধ আয়ের সঙ্গে আপনার জীবনযাত্রার মিল আছে কি না। অবশ্য যাদের ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এবং বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় রয়েছে কেবল তাদেরকেই সম্পদের বিবরণীসহ জীবনযাত্রার হিসাব-নিকাশ জমা দিতে হবে। যদি এই সীমা অতিক্রম না করে তাহলে করদাতা ইচ্ছা করলে তার জীবনযাত্রার বিবরণীতে এসব তথ্য জমা দিতে পারেন।
কর আইনজীবী মোহাম্মদ সোহেল রানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একজন করদাতার পক্ষে সারাবছরের মোবাইল ফোনে কত টাকা রিচার্জ করলেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। সাধারণত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা একসঙ্গে বেশি অর্থ রিচার্জ করেন না। অনেক ব্যবহারকারী দু-চারদিন পরপর মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ করেন। নতুন এই বিধানের ফলে অনেক করদাতার ঝামেলায় পড়বেন।