শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

যশোরে ৩ জন ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত

প্রকাশঃ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিন বাংলাদেশি নাগরিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিএ ২.৭৫।

গত রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের তিনজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করে।

মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় যবিপ্রবির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক আব্দুর রশিদ।

যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানায়, আক্রান্ত তিনজন ব্যক্তিই পুরুষ। যাদের একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুইজনের বয়স ৮৫ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যান্যরা বাসাতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।

গবেষক দলটি আরও জানায়, বিএ ২.৭৫ সাব-ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের বিএ ২ ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি জুলাই মাসে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়। গত আগস্টে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

করোনার এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এজন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি জানান, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে এবং এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ