দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই শনাক্ত হয়েছে ঢাকা মহানগরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৭ জন। যা দেশের মোট আক্রান্তের ৫২.২৬ শতাংশ। ঢাকা মহানগরের দেড় শতাধিক স্থানে করোনা ছড়ালেও হলেও ১৩টি এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি। এ এলাকাগুলোকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রাজধানীতে সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এলাকার এর মধ্যে রাজারবাগে ৯৯ জন, যাত্রাবাড়ীতে ৬৭ জন, লালবাগে ৫৯ জন, মোহাম্মদপুরে ৫৪ জন, বংশালে ৪৭ জন, মুগদায় ৫১ জন, মহাখালীতে ৩৮ জন, মিটফোর্ড এলাকায় ৩৮ জন, মিরপুর ১৪ নম্বরে ৩৬ জন, তেজগাঁওয়ে ৩৬ জন, ওয়ারীতে ৩৪ জন, শাহবাগে ৩৪ জন, কাকরাইলে ৩৩ জন ও উত্তরায় ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা মহনগরের এসব এলাকাকে মারাত্মক ঝুঁকিপূণ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশিষ্টরা।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ৫১তম দিনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সাতক্ষীরা ও নাটোর- এ চার জেলা ছাড়া বাকি ৬০টি জেলায়ই করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। তবে করোনার সংক্রমণ সারাদেশে ঘটলেও মূলত রাজধানী ঢাকা ও ঢাকা বিভাগেই প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগী এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে পাঁচজনই ঢাকার বাসিন্দা। সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের অর্ধেকের বেশিই ঢাকা মহানগরের।