রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। শনিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে রোববার (১৩ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ছয়জন করোনায় এবং সাতজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতদের মধ্যে ছয়জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা শনাক্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও একজনের বাড়ি নওগাঁয়। আর উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী ও নওগাঁর দুইজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন।
গত ২৪ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ২১ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) মারা গেলেন ১৭৪ জন।
আর এ মাসে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ১৩ জুন সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১২৫ জন। এরমধ্যে ৭০ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে।
রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোববার সকালে রোগী ভর্তি আছেন ২৯৪ জন। এরমধ্যে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৪১ জন। আর করোনা সন্দেহে চিকিৎসা চলছে ১১৭ জনের। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এরমধ্যে রাজশাহীর ২৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাতজন, নাটোরের তিনজন ও নওগাঁর পাঁচজন। এসময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৫ রোগী।
এদিকে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী শহরে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে।আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। লকডাউনের কারণে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন চলছে না। রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে গেছে।