রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাচ্ছে দেশের ১২ দশমিক ৮ শতাংশ খানা (পরিবার)। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় ২৬ দশমিক ২ শতাংশ খানা বা পরিবার রেমিট্যান্স গ্রহণ করছে।
‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২১ সালে এ জরিপ করেছে।
জরিপে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রেমিট্যান্স বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, জাতীয় সঞ্চয় বাড়ানো ও টাকার হাত বদলের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
২০২১ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স’ (এসভিআরএস) জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ২০২১ সালে মোট ১২ দশমিক ৮ শতাংশ খানা বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণ করেছে৷ প্রবাসী আয় গ্রহণকারী খানাগুলো মূলত পল্লি অঞ্চলকেন্দ্রিক। পল্লি অঞ্চলের ১৪ শতাংশ খানা বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণ করে। সিটি করপোরেশন এলাকায় এ হার ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং পৌরসভা বা অন্যান্য শহরাঞ্চলে তা ১০ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী খানার সংখ্যা সর্বাধিক চট্টগ্রাম বিভাগে৷ এ বিভাগে প্রবাসী আয় গ্রহণকারী খানার অনুপাত ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রতি চারটি খানার বিপরীতে একটি খানা প্রবাসী আয় পেয়ে থাকে।
প্রবাসী আয় গ্রহণে দ্বিতীয় অবস্থানে সিলেট বিভাগ। এ বিভাগের ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ খানা প্রবাসী আয় গ্রহণ করে৷ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী খানাগুলোর অধিকাংশই (৮৪ শতাংশ) চট্টগ্রাম বিভাগে। রংপুর বিভাগে প্রবাসী আয় গ্রহণকারী খানার অনুপাত সবচেয়ে কম, মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ।