করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি রয়েছে । সশরীরে পাঠদান বন্ধ থাকবে ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগেও দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান এই ছুটি বাড়ানো হবে নাকি সশরীরে ক্লাস শুরু হবে তা জানতে উদ্গ্রীব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে ইঙ্গিত মিলছে চলমান এই ছুটি বাড়তে পারে এক থেকে দুই সপ্তাহ আর শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদানের গতি বাড়াতে টিকা সপ্তাহ করারও কথা ভাবছে সরকার।
করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেইসঙ্গে চলছে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা প্রদানের কাজ।
করোনার সংক্রমণ হার অধিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এই সংক্রমণ আরও দুই সপ্তাহ বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা যায়, করোনার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পূর্বের বছরের মতো ধাপে ধাপে বাড়বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনার সংক্রমণ হারের এই ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নন তারা। তবে ক’দিন ধরে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল আছে। তবে এই অবস্থার উন্নতি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ থেকে ১৪ দিন বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন : সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাচ্ছেন ৩৬ হাজার শিক্ষক
এ বিষয়ে জানতে চাইলে করোনা নিয়ন্ত্রণ বিষয় জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ড. মো. শহিদুল্লাহ পর্যবেক্ষণের কথা জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছি। এরপর আমাদের মতামত জানাবো। সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হয়তো হবে না। আমরা অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।