রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ

প্রকাশঃ

তৈরি পোশাকসহ শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে শ্রমঘন শিল্প এলাকায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর সব শাখা সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি জেলা সদরে অন্তত একটি শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বন্দর এলাকায় প্রয়োজনে ব্যাংকের শাখা বুথ খোলা থাকবে। পাশাপাশি এটিএম ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন ঘোষিত বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়িক লেনদেন সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে আগামী ১৯ এপ্রিল হতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রাহক লেন‌দেন কর‌তে পার‌বে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পাশাপাশি করোনার কারণে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যেসব এলাকা লকডাউন কর‌বে ওই এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা বন্ধ থাক‌বে।

অনলাইন সুবিধা আছে এমন ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখবে। তবে যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে।

জেলা সদর জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি খোলা রাখতে হবে।

মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা (যেখানে বৈদেশিক লেনদেন সম্পূর্ণ হয়) খোলা রাখতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখতে হবে।

শ্রমঘন শিল্প এলকায় সব ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন প্রদত্ত ঘোষণা অনুসারে লকডাউন এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি শাখা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

এটিএম ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ ও সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়য়ে নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ