সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

সর্দি-কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশঃ

করোনাকালে সর্দি-কাশি হলে মানুষ আতঙ্কে থাকে। অথচ, এই বর্ষায় সর্দি-কাশি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এখন সর্দি-কাশি হলে হেলাফেলা করা যাবে না। না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রেও। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

হলুদ: হলুদে থাকা কারকুমিন নামের উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ও বুকের খুসখুসে অস্বস্থি, জ্বালা, ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে এক চিমটে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন গারগেল বা কুলকুচি করুন। এ ছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটে গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। উপকার পাবেন।

আদা: এক টেবিল চামচ আদা কুচি পানিতে মেশান। এ বার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে এতে সামান্য মধু দিয়ে দিন। দিনে অন্তত তিনবার এই পানীয়টি পান করুন। এ ছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়ো, এবং লবঙ্গের গুঁড়ো দুধ বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। আপনি চাইলে এক টুকরো আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ বা শ্লেষ্মা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করবে।

লবণ পানি: বুকের সর্দি, কফ দূর করতে সবচেয়ে সহজ আর সস্তা উপায় হল লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানির সঙ্গে এক চা চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার গারগেল করুন।

পিঁয়াজ: সমপরিমাণের পিঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই ভাবে সামান্য উষ্ণ এই পানি দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার পান করুন। উপকার পাবেন।

লেবু এবং মধু: লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ বা শ্লেষ্মা দূর করে গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক কাপ সামান্য উষ্ণ পানিতে দুই চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এই পানীয়টি দিনে অন্তত দুই তিনবার পান করুন। মোটামুটি ৮-১০ দিন পান করুন। দ্রুত শ্লেষ্মার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ