সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও পানি ঢুকে পড়েছে। রানওয়ের কাছাকাছি পানি চলে আসায় বিমানবন্দরে সবধরনের কার্যক্রম আপাতত তিনদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তিনদিনের জন্য বিমানবন্দরের সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিমানের সবধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামাও বন্ধ থাকবে।
হাফিজ আহমদ আরও বলেন, এরই মধ্যে রানওয়ের শোল্ডার পানির নিচে ডুবে গেছে। অনেক যন্ত্রপাতি পানির নিচে। এজন্য সাময়িকভাবে তিনদিনের জন্য বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে বিমানবন্দরের সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিমানযাত্রীরা।
বিমানের ১৭ জুনের সিলেট টু ঢাকা ফ্লাইটের তিনটি টিকিট কেটেছিলেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নজরুল ইসলাম। বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার খবরে তিনি হতাশ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি কাজে ১৭ জুন ঢাকায় যাওয়ার জন্য তিনটি টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু এখন জানলাম বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ।’
বিমান বাংলাদেশ সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক দেবব্রত মল্লিক বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে ওসমানী বিমানবন্দরে বিমানের তিনটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ডমেস্টিক ও একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেট-ঢাকা-দুবাই ২৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি সিলেটে বাতিল করা হলেও ঢাকা থেকে সঠিক সময়েই ছেড়ে যাবে। সিলেট থেকে যারা ফ্লাইটে যেতে পারেননি, তাদের মধ্যে যাদের এই ফ্লাইটেই যেতে হবে যেমন ভিসার মেয়াদ বা টিকিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে ঢাকায় পাঠিয়েছে। তারা আজ রাতের ফ্লাইটেই দুবাই যাবেন।’