পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত বেসরকারিখাতের এনআরবিসি ব্যাংকের চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ও নিট সম্পদ (এনএভি) বেড়েছে। ২৭ অক্টোবর, বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। এতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর শেষে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। গত বছরের একই মাসে যা ছিল ১ টাকা ৯১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ১ টাকা ৮৭ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্সশিটের (অফ ব্যালান্সশিটসহ) আকার দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যা গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছিল ১৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এছাড়া সমন্বিতভাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। গতবছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৯৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ১৭২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৯২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এছাড়া সমন্বিতভাবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছরের এই সময় যা ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি ১৫ টাকা ৮৯ পয়সা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১২ টাকা ৫৯ পয়সা।
ব্যালান্সশিটে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সায়, গত বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। আর এককভাবে ইপিএস ৯৭ পয়সা, যা গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে ডিজিটাল প্লাটফর্মে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, লকিয়ত উল্লাহ, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এশরার ও রাদ মুজিব লালন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম আউলিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে এনআরবিসি ব্যাংক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে কার্যকরীভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মূল লক্ষ্য একেবারে গ্রামের মানুষ ও নিন্ম আয়ের মানুষের কাছে টাকা পৌছানো। এজন্য আমরা কৃষি ঋণ, ক্ষুদ্র ঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে প্রণোদনার প্যাকেজের ঋণ বিতরণে গুরুত্ব দিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হোক। এতে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে। ফলে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক সংকট আমাদের দেশে প্রকট আকার ধারণ করেনি। এইসব উদ্যোগের কারণে আমাদের ব্যাংকের আর্থিক সূচকেও উন্নতি হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেনেও এনআরবিসি ব্যাংকের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।