দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবৈধভাবে হাতিরঝিলে নির্মিত বহুল আলোচিত বিজিএমইএ’র ভবন ভাঙার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
ভবন ভাঙার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হাতিরঝিলের অনুমোদিত নকশার বাইরে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেওয়া হবে না। দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু হয়েছে। দেশের পরিবেশ ও রাষ্ট্রের সুরক্ষার লক্ষ্যে এটি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হাতিরঝিলে পানিতে এখন আর খারাপ গন্ধ নেই। তারপরও আমরা পানি নিষ্কাশন ও পরিষ্কারের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে যন্ত্র নিয়ে এসেছি। প্রতিদিনই পানি পরীক্ষা করা হবে এবং পানি যাতে সুন্দর থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে। হাতিরঝিলে পানি থেকে কোনোরকম দুর্গন্ধ বের হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের দিকে হাতিরঝিলে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা বিজিএমইএ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। জলাশয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদীরা। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয় গত ১২ এপ্রিল। ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএ’র বর্তমান ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়।